
বেতার চট্টগ্রাম: ইতিহাসের একটি সুরেলা অধ্যায় 🎶
বাংলাদেশের বেতার, বিশেষ করে চট্টগ্রামের বেতার কেন্দ্র, আমাদের দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মাধ্যম। ১৯৫৪ সালের ২২ জুন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত, এই বেতার কেন্দ্র আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে।
প্রথমে একটি ভ্রাম্যমান মোটর ভ্যানে ১ কিলোওয়াট ক্ষমতার ট্রান্সমিটার দিয়ে শুরু হয়েছিল সম্প্রচার কার্যক্রম। ভাবুন তো, তখনকার দিনে কতটা কষ্টসাধ্য ছিল! 🚐📻
কালুরঘাটের যাত্রা
১৯৬২ সালের প্রথম দিকে কালুরঘাটে ১০ কিলোওয়াট ক্ষমতার ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হয়। তখন শুরু হয় পরীক্ষামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার। আর তখন থেকেই বেতার চট্টগ্রাম হয়ে ওঠে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম।
এখনকার যুগে যখন সবাই ডিজিটাল মাধ্যমের দিকে ঝুঁকছে, তখন বেতার চট্টগ্রাম যেন এক পুরনো বন্ধু। আমাদের দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতি, খবর এবং বিনোদন পৌঁছে দেওয়ার জন্য বেতার এখনও গুরুত্বপূর্ণ।
বেতারের সাংস্কৃতিক প্রভাব
বেতার চট্টগ্রামের অনুষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র খবরের জন্য নয়, বরং এটি আমাদের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সংগীত, নাটক, এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতির রঙে রাঙিয়ে দেয়। 🎤🎭
- সংগীত: বিভিন্ন ধরনের গান, যেমন পপ, ফোক, এবং ক্লাসিক্যাল, সবই বেতারে শোনা যায়।
- নাটক: নাটক ও রেডিও নাটক আমাদের সংস্কৃতির একটি বড় অংশ।
- খবর: প্রতিদিনের খবর, বিশেষ করে স্থানীয় ঘটনার খবর, বেতারে প্রচারিত হয়।
- আলোচনা: নানা বিষয়ের উপর আলোচনা, যা আমাদের চিন্তাভাবনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
বেতার চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ
বেতার চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, কারণ এটি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তৈরি করে চলেছে। এটি নিশ্চিত করে যে বেতার চট্টগ্রাম তার শ্রোতাদের জন্য সবসময় নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবে। 📅
সুতরাং, বেতার চট্টগ্রাম আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু একটি সম্প্রচার মাধ্যম নয়, বরং আমাদের সংস্কৃতির একটি প্রাণশক্তি। চলুন, আমরা সবাই বেতার চট্টগ্রামের সঙ্গে থাকি, কারণ এটি আমাদের সংস্কৃতির সুরেলা অধ্যায়। 🎉


