ডিজিটালাইজেশন, ভূমি, নামজারি, খতিয়ান
व्यापार और वित्त

ভূমি ডিজিটালাইজেশন: একটি নতুন যুগের সূচনা

বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি দেশের ভূমি রেকর্ড এবং জরিপ ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণের মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য সেবা প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলছে।

ডিজিটালাইজেশনের সুবিধাসমূহ

ভূমি ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  1. নামজারি প্রক্রিয়ার দ্রুততা: পূর্বে নামজারি প্রক্রিয়া ৪৫ দিন সময় নিত, কিন্তু বর্তমানে এটি ২৮ দিনে সম্পন্ন হচ্ছে।
  2. প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুবিধা: মহানগরে নামজারি মামলা নিষ্পত্তি ১২ দিনে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৯ দিনে সম্পন্ন হচ্ছে।
  3. ডিজিটাল খতিয়ান: আরএসকে সিস্টেমে ১৭,৯৪১টি মৌজার ১ কোটি ১ লাখ খতিয়ান ডিজিটালাইজ করা হয়েছে।
  4. অনলাইন অ্যাক্সেস: এখন থেকে রিভিশনাল সার্ভে খতিয়ান অনলাইনে পাওয়া যাবে, যা নাগরিকদের জন্য একটি বড় সুবিধা।

ডিজিটালাইজেশনের প্রক্রিয়া

ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে সহজে সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা

সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাকী খতিয়ানগুলোও ওয়েবসাইটে আপলোড করার। এর ফলে দেশের ৩.৫ কোটি খতিয়ানের মধ্যে ১ কোটি ৪৬ লাখ খতিয়ান ইতোমধ্যে অনলাইনে পাওয়া যাবে।

উপসংহার

ভূমি ডিজিটালাইজেশন বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। এটি নাগরিকদের জন্য সেবা প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে সহজ এবং দ্রুততর করছে। ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়া আরও উন্নত হবে, যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


9 2

Comments
Generating...

To comment on Samurai Champloo, please:

Log In Sign-up

Chewing...

Now Playing: ...
Install the FoxGum App for a better experience.
Share:
Scan to Share