
ছড়া সবজি: সাহিত্যের রসনাবিজ্ঞান
ছড়া, যে শব্দটি শুনলেই মনে পড়ে যায় সেই ছোটবেলার দিনগুলি। যখন মা বা দাদি আমাদের ঘুম পাড়ানোর জন্য ছড়া পড়তেন, কিংবা বন্ধুরা মিলে স্কুলে ছড়া বলার প্রতিযোগিতায় অংশ নিত। কিন্তু কি জানেন, ছড়া শুধুমাত্র শিশুদের জন্য নয়, এটি সাহিত্যের একটি প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ শাখা! 🎉
ছড়া সাধারণত স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত হয় এবং এর ইতিহাস প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরোনো। এক সময়ে, ছড়ার সাহিত্যিক মর্যাদা ছিল না, কিন্তু আজ এটি একটি সম্মানজনক স্থান অধিকার করেছে।
ছড়ার প্রকারভেদ
ছড়াকে বিভিন্ন প্রকারে ভাগ করা যায়। ড. আশুতোষ ভট্টাচার্য তাঁর 'লোক সাহিত্য' গ্রন্থে ছড়াকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছেন:
- লৌকিক ছড়া: সাধারণ মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত।
- সাহিত্যিক ছড়া: যেগুলি লেখকদের দ্বারা রচিত।
- আধুনিক ছড়া: বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে রচিত।
এছাড়াও, ছড়ার আরও কিছু প্রকার রয়েছে, যেমন শিশুতোষ ছড়া, রাজনৈতিক ছড়া, এবং ছড়ার ছন্দাশ্রিত কিশোর কবিতা।
ছড়ার গুরুত্ব
ছড়া আমাদের সংস্কৃতির একটি অঙ্গ। এটি কেবলমাত্র বিনোদনই নয়, বরং শিক্ষা এবং সামাজিক বার্তা প্রচারের মাধ্যমও। ছোট ছোট ছড়ার মাধ্যমে যেমন আমরা ভাষা শেখার সূচনা করি, তেমনি বড়দের জন্যও ছড়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরতে পারে।
ছড়া লেখার সময়, লেখকরা সাধারণত মজার এবং রসিকতা করার চেষ্টা করেন, যা পাঠকদের মনে আনন্দ এনে দেয়। এটি একটি সৃজনশীল প্রকাশের মাধ্যম এবং আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখে।
ছড়ার উদাহরণ
এখন কিছু উদাহরণ দেখা যাক:
- ছেলেভুলানো ছড়া: “ছোট্ট বাচ্চা, খোকা খোকা, দৌড়াও, দৌড়াও!”
- ঘুম পাড়ানি ছড়া: “ঘুমোতে যাও, ঘুমোতে যাও, চাঁদ উঠেছে, আলো জ্বালো!”
এগুলো শুধু ছড়া নয়, বরং আমাদের ছোটবেলার স্মৃতির অংশ।
শেষ কথা
ছড়া আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি আমাদের সংস্কৃতির পরিচয় এবং আমাদের ঐতিহ্যের একটি প্রতীক। তাই, ছড়া লিখুন, পড়ুন এবং উপভোগ করুন! 😄