
মিষ্টি কুমড়ার পরিচয়
মিষ্টি কুমড়া, যা সাধারণত আমাদের দেশে খুব জনপ্রিয় একটি সবজি, এটি বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। এর স্বাদ ও পুষ্টিগুণের কারণে এটি বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয়। মিষ্টি কুমড়ার গুণাগুণ এবং চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানলে এটি আপনার খাদ্য তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেতে পারে। 🍂
পুষ্টিগুণ
মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ায় আপনি পাবেন:
- ১৩ কিলো ক্যালরি
- ৬.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
- ১.৩৬ গ্রাম শর্করা
- ০.৫ গ্রাম আঁশ
- ০.১ গ্রাম চর্বি
- ১.০ গ্রাম প্রোটিন
- ৩৬৯ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন এ
এগুলো ছাড়াও, মিষ্টি কুমড়ায় থায়ামিন এবং রিবোফ্লাভিনও রয়েছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
চাষ পদ্ধতি
মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য নার্সারিতে পলিব্যাগে চারা তৈরি করা উত্তম। সাধারণত ৮-১০ ইঞ্চি মাপের পলিব্যাগ ব্যবহার করা হয়। জমিতে ১৬-২০ দিনের চারা লাগানো উচিত।
মাটির প্রকৃতি ও স্থানভেদে, চারা লাগানোর জন্য ৬-৮ ইঞ্চি উঁচু, সোয়া ৩ ফুট চওড়া এবং লম্বায় সুবিধাজনক জায়গা নির্বাচন করা উচিত।
সেচের গুরুত্ব
মিষ্টি কুমড়া পানির প্রতি খুবই সংবেদনশীল। প্রয়োজনীয় পানি না হলে ফল ধারণ ব্যাহত হয় এবং ফলগুলো ঝরে যেতে পারে। তাই সেচের সময় সঠিকভাবে পানি দেওয়া উচিত। জমি ভিজিয়ে প্লাবন সেচ দেওয়া যাবে না; বরং সেচ নালায় পানি দিয়ে আটকে রাখতে হবে। 💧
আগাছা দমন
জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেচ ও সার দেওয়ার পর জো আসা মাত্র আগাছা বাছাই করা উচিত। চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।
উপসংহার
মিষ্টি কুমড়া শুধু স্বাস্থ্যকর নয়, বরং এটি বিভিন্ন রেসিপিতে ব্যবহার করা যায়। এর পুষ্টিগুণ এবং চাষের সহজ পদ্ধতির কারণে এটি কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক ফসল। তাই, যদি আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চান, তবে মিষ্টি কুমড়া আপনার তালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত।