
নারী কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
বাংলা সাহিত্যের আলোচনায় কাজী নজরুল ইসলামের নাম শুনলেই মনে পড়ে তার অসাধারণ কবিতা, বিশেষ করে 'নারী' কবিতাটি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? চলুন, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করি।
কবিতার পটভূমি
কাজী নজরুল ইসলাম, যিনি বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত, তার লেখায় নারীর মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। 'নারী' কবিতাটি নজরুলের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ 'সাম্যবাদী' থেকে নেওয়া। এই গ্রন্থে নজরুল নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলেছেন।
সাম্যবাদী গ্রন্থের বৈশিষ্ট্য
'সাম্যবাদী' কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি নজরুলের সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার প্রতিফলন। এখানে তিনি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কথা বলেছেন। কবিতাগুলোতে রয়েছে:
- নারী - নারীর শক্তি ও অধিকারকে তুলে ধরা হয়েছে।
- মানুষ - মানবতার জয়গান।
- কুলি - মজুর - শ্রমিক শ্রেণির অধিকার নিয়ে আলোচনা।
নারীর প্রতি নজরুলের দৃষ্টিভঙ্গি
নজরুলের মতে, 'নারী' কবিতায় তিনি দেখিয়েছেন যে, নারী এবং পুরুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়। তিনি লিখেছেন, “সাম্যের গান গাই— আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই।” এই কথাটি আমাদের সমাজে নারীর অবস্থান ও অধিকার নিয়ে নতুন আলো ফেলেছে।
কেন 'সাম্যবাদী' গুরুত্বপূর্ণ?
সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থটি শুধু কবিতা নয়, বরং একটি সামাজিক আন্দোলনের প্রতীক। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, নারীর অধিকার ও সমান মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা কতটা জরুরি। নজরুলের লেখার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কষ্ট ও সংগ্রামের কথা উঠে এসেছে।
উপসংহার
সুতরাং, 'নারী' কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের 'সাম্যবাদী' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। এটি আমাদের সমাজে নারীর অবস্থান ও অধিকার নিয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে। নজরুলের এই কবিতা আজও প্রাসঙ্গিক এবং আমাদের প্রেরণা দেয় নারীর স্বাধীনতা ও সমান অধিকারের জন্য লড়াই করতে।