
পরমাণুর গঠন
পরমাণুর গঠন
পরমাণু হল পদার্থের মৌলিক একক, যা সব ধরনের পদার্থের গঠন করে। এটি একটি জটিল কাঠামো, যার মধ্যে রয়েছে নিউক্লিয়াস এবং ইলেকট্রন। পরমাণুর গঠন বোঝার জন্য এর বিভিন্ন উপাদান এবং তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
নিউক্লিয়াস
নিউক্লিয়াস হল পরমাণুর কেন্দ্রীয় অংশ। এটি প্রধানত প্রোটন এবং নিউট্রনের সমন্বয়ে গঠিত। প্রোটনগুলি ধনাত্মকভাবে চার্জিত এবং নিউট্রনগুলি নিরপেক্ষ। নিউক্লিয়াসের ভর পরমাণুর মোট ভরের একটি বড় অংশ ধারণ করে।
ইলেকট্রন
ইলেকট্রন হল পরমাণুর বাইরের অংশে অবস্থিত ক্ষুদ্র কণা। এগুলি ঋণাত্মকভাবে চার্জিত এবং নিউক্লিয়াসের চারপাশে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরে বেড়ায়। ইলেকট্রনের সংখ্যা নিউক্লিয়াসের প্রোটনের সংখ্যার সমান, যা পরমাণুর বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে।
প্লুম-পুডিং মডেল
১৮৯৭ সালে ব্রিটিশ পদার্থবিদ জে জে টমসন প্রথমবারের মতো পরমাণুর গঠন সম্পর্কে একটি মডেল উপস্থাপন করেন, যা প্লুম-পুডিং মডেল নামে পরিচিত। এই মডেল অনুযায়ী, নিউক্লিয়াসের মধ্যে প্রোটন ও নিউট্রনগুলি একটি পুডিংয়ের মধ্যে কিশমিশের মতো ছড়িয়ে থাকে। তবে, পরবর্তীতে এই মডেল ভুল প্রমাণিত হয়।
রাদারফোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল
আর্নেস্ট রাদারফোর্ডের স্বর্ণপাত পরীক্ষায় দেখা যায় যে, পরমাণুর মধ্যে অনেক ফাঁকা জায়গা রয়েছে। বেশিরভাগ ধনাত্মক চার্জিত কণা নিউক্লিয়াসের মধ্যে দিয়ে সহজেই চলে যায়, যা পরমাণুর গঠন সম্পর্কে নতুন ধারণা প্রদান করে।
পরমাণুর বৈশিষ্ট্য
পরমাণুর গঠন এবং এর উপাদানগুলি বিভিন্ন মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। প্রতিটি মৌলিক পদার্থের পরমাণুর সংখ্যা এবং গঠন ভিন্ন, যা তাদের রসায়নিক আচরণকে প্রভাবিত করে।
উপসংহার
পরমাণুর গঠন একটি মৌলিক বিষয়, যা পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নের মূল ভিত্তি। নিউক্লিয়াস এবং ইলেকট্রনের সমন্বয়ে গঠিত এই কাঠামো আমাদের চারপাশের সবকিছুর ভিত্তি। পরমাণু সম্পর্কে আরও গবেষণা এবং বোঝাপড়া আমাদের বিশ্বকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।