
স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্য: একটি ঐতিহাসিক প্রতীক
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্যটি বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের ইতিহাসকে ধারণ করে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য এবং এর নির্মাতা হলেন বিশিষ্ট ভাস্কর শামীম শিকদার। এই ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিভিন্ন পর্যায়ের ঘটনাবলীকে চিত্রিত করে, যা জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক।
ভাস্কর্যের অবস্থান
স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্যটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডে সলিমুল্লাহ হল, জগন্নাথ হল এবং বুয়েট সংলগ্ন সড়ক দ্বীপে স্থাপিত হয়েছে। এই ভাস্কর্যটি স্থানীয় জনগণের কাছে একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।
ভাস্কর্যের নির্মাণের ইতিহাস
শামীম শিকদার ১৯৮৮ সালে ফুলার রোডে অবস্থিত সেকেলে বাংলো স্টাইলের বাড়ির সামনে ‘অমর একুশে’ নামে একটি বিশাল ভাস্কর্য নির্মাণ শুরু করেন। ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি সম্পন্ন হয়। এই ভাস্কর্যটি মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৬-এর স্বাধিকার আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭১-এর ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
ভাস্কর্যের বৈশিষ্ট্য
স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্যটি মূলত স্বাধীনতা সংগ্রামকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে। এতে দেশ-বিদেশের শতাধিক কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, বিপ্লবী, রাজনীতিক এবং বিজ্ঞানীর আবক্ষ মোট ১১৬টি ভাস্কর্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব ভাস্কর্যের মধ্যে কিছু একক এবং কিছু যুক্ত ভাস্কর্য।
ভাস্কর্যের সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
এই ভাস্কর্যটি শুধুমাত্র একটি শিল্পকর্ম নয়, বরং এটি বাঙালি জাতির সংগ্রামের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের শিক্ষা দেয় এবং জাতীয় গর্বের অনুভূতি জাগ্রত করে।
উপসংহার
স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অমূল্য সম্পদ। এটি জাতির আত্মপরিচয় এবং সংগ্রামের চেতনা জাগ্রত রাখে। ভাস্কর্যটি আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এবং এটি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি শিক্ষা হিসেবে কাজ করবে।


