
শিপবিল্ডিং প্রশিক্ষণের গুরুত্ব
বাংলাদেশে শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং একটি পুরনো এবং সম্মানজনক পেশা। এই পেশার চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শিপবিল্ডিং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলি শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদান করে, যা তাদের এই ক্ষেত্রে সফল হতে সাহায্য করে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রশিক্ষণ কোর্স
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি, নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত, শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জন্য একটি প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিপ-বিল্ডিং টেকনোলজি এবং দুই বছর মেয়াদি শিপ-বিল্ডিং কোর্স পরিচালিত হয়।
প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু
শিপবিল্ডিং প্রশিক্ষণে বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেমন:
- জেনারেল শিপ নলেজ: জাহাজের বিভিন্ন অংশ এবং তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা।
- বেসিক ইলেকট্রিসিটি: জাহাজের বৈদ্যুতিক সিস্টেমের মৌলিক ধারণা।
- শিপ-বিল্ডিং ড্রয়িং: জাহাজের নকশা এবং পরিকল্পনা তৈরির দক্ষতা।
- মেকানিক্যাল ড্রয়িং: যান্ত্রিক নকশার মৌলিক ধারণা।
- নেভাল আর্কিটেকচার: জাহাজের নকশা এবং নির্মাণের বিজ্ঞান।
- বেসিক ওয়েভ থিওরি: জাহাজের চলাচল এবং তরঙ্গের প্রভাব।
শিল্পের সম্ভাবনা
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২০০টি শিপবিল্ডিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে জাহাজ নির্মাণ করছে। এই শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ রফতানি করছে, যা দেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করছে।
কর্মসংস্থান এবং বিদেশে সুযোগ
শিপবিল্ডিং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দক্ষ কর্মী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগ পাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা তাদের উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে।
উপসংহার
শিপবিল্ডিং প্রশিক্ষণ বাংলাদেশের যুবকদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। এই প্রশিক্ষণ তাদেরকে একটি সফল পেশাগত জীবনের দিকে পরিচালিত করতে পারে, পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সাহায্য করে।