
কৃষি ব্যাংক: বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নের সহায়ক
বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংক, যা বিকেবি নামে পরিচিত, ১৯৭৩ সালের ৩১ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক, যা কৃষি খাতের উন্নয়ন এবং দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কৃষির মতো প্রকৃতি নির্ভর খাতে অর্থায়নের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। 🌾
কৃষি ব্যাংকের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম
কৃষি ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের জনসাধারণের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। এটি কৃষি, এসএমই (ছোট এবং মাঝারি উদ্যোগ) এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পে ঋণ প্রদান করে। এর মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে কাজ করা হয়।
কৃষি ব্যাংকের ঋণ সুবিধা
কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ঋণ সুবিধা প্রদান করে, যেমন:
- শস্য ঋণ: কৃষকদের শস্য উৎপাদনে সহায়তা করার জন্য ঋণ প্রদান করা হয়।
- মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ ঋণ: মৎস্য চাষ এবং গাভীপালনের জন্যও ঋণ সুবিধা রয়েছে।
- কৃষি যন্ত্রপাতি ঋণ: কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ঋণ প্রদান করা হয়।
- এসএমই ঋণ: ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধা রয়েছে।
এই ঋণ সুবিধাগুলি কৃষকদের এবং উদ্যোক্তাদের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে, যা তাদের কৃষি এবং ব্যবসার উন্নয়নে সহায়তা করে। 🌱
কৃষি ব্যাংকের পরিচালনা
কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে, যার প্রধান একজন চেয়ারম্যান। বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন মোঃ ইসমাঈল। এই পর্ষদ ব্যাংকের নীতি নির্ধারণ এবং কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।
বাংলাদেশের কৃষি খাতের গুরুত্ব
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি ব্যাংক কৃষি খাতের উন্নয়নে সহায়তা করে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। কৃষি ব্যাংক কৃষকদের জন্য একটি নিরাপদ এবং সহজ ঋণ প্রক্রিয়া তৈরি করে, যা তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
উপসংহার
কৃষি ব্যাংক বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এটি কৃষকদের এবং উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ সুবিধা প্রদান করে, যা তাদের জীবিকা উন্নত করতে সাহায্য করে। কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রম দেশের অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।