
সিটি কর্পোরেশন: একটি পরিচিতি
সিটি কর্পোরেশন হলো একটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান যা শহরের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন সেবা প্রদান করে এবং শহরের উন্নয়ন ও পরিকল্পনার জন্য দায়ী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের জন্য দুটি সিটি কর্পোরেশন রয়েছে: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ইতিহাস
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ১৮৬৪ সালের ১লা আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে এটি একটি পৌরসভা হিসেবে কাজ শুরু করে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর, ২০১১ সালের ১৯শে নভেম্বর স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধনী) বিল পাসের মাধ্যমে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে বিভক্ত করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়।
সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম
সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে:
- পানির সরবরাহ: নাগরিকদের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা।
- বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: শহরের বর্জ্য সংগ্রহ ও নিষ্কাশন।
- সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ: শহরের সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন।
- স্বাস্থ্য সেবা: হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনা।
- শিক্ষা: স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন।
সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কাঠামো
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কাঠামো প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত হয়। এছাড়াও, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন বিভাগ ও কমিটি রয়েছে যা সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম তদারকি করে।
সিটি কর্পোরেশনের চ্যালেঞ্জসমূহ
সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, যেমন:
- জনসংখ্যার চাপ: ঢাকা শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেবা প্রদান কঠিন হয়ে পড়ছে।
- বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি বড় সমস্যা, যা সঠিকভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন।
- অবকাঠামোগত উন্নয়ন: শহরের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত তহবিলের অভাব।
- দূষণ: পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
উপসংহার
সিটি কর্পোরেশন শহরের উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা প্রদানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি স্থানীয় সরকারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে। সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন শহরের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।

